Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৭ জানুয়ারি ২০১৬

মহানবী (সা.) এর জীবনাদর্শ অনুসরণের মাধ্যমেই একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠন করা সম্ভব। -ধর্মমন্ত্রী


প্রকাশন তারিখ : 2015-12-24

ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেছেন, মহানবী (সা.) এর জীবনাদর্শ অনুসরণের মাধ্যমেই একটি শামিত্মপূর্ণ সমাজ গঠন করা সম্ভব। তার অনুপম শিক্ষা ও আদর্শ দিতে পারে মানবতার মুক্তি। তাঁর প্রচারিত দ্বীন ইসলাম সর্বকালের সকল মানুষের একমাত্র মুক্তির পাথেয়। আজ (২৪ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ১৪৩৭ হিজরী উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, মহানবী (সা.) এর অনুপম আদর্শ বিশ্ববাসীর নিকট তুলে ধরতে পারলে বিশ্বশান্তির জন্য আমাদেরকে আর কোন মত ও আদর্শের মুখাপেক্ষী হতে হবে না। বায়তুল মোকাররম মসজিদের পূর্ব সাহানে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিতব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল।
 

প্রধান বক্তার ভাষণে খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট মোঃ কামরুল ইসলাম এমপি বলেন, বাংলাদেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন আইএস জঙ্গীবাদের কালিমা লেপন করে দেশকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করছে। দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ হয়ে এ ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। তিনি বলেন, ইহুদীরা ইসলামের সৌন্দর্য নষ্ট করার জন্য জঙ্গী, আইএস ও আল কায়েদা সৃষ্টি করেছে। যারা জঙ্গীবাদের সৃষ্টি করেছে তারাই জঙ্গী দমনের নামে আফগানিস্তান, ইরাক ও সিরিয়া ধ্বংস করছে। তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রনায়ক ও সেনানায়ক হিসেবে মহানবী (সা.) যে সফলতা দেখিয়েছেন তা পৃথিবীতে আর কেউ দেখাতে পারেন নি। তাঁর আদর্শ থেকে দূরে সরে যাওয়ার কারণেই পৃথিবীতে অশান্তি ও হানাহানি সৃষ্টি হচ্ছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নর-এর গভর্নর আলহাজ মিজবাহুর রহমান চৌধুরী বলেন, ইহুদীরা ষড়যন্ত্র করে মুসলমানদের নামে জঙ্গীবাদের অপবাদ দিচ্ছে। অথচ জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস উচেছদের জন্য ইসলামের আগমন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নর-এর গভর্নর শায়খ আল্লামা খন্দকার গোলাম মওলা নকশেবন্দী বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নেয়ামত হচ্ছে হযরত মুহাম্মদ (সা.)। সারা দুনিয়ায় কিয়ামত পর্যন্ত মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপিত হবে।
 

অনুষ্ঠান শেষে বাদ এশা হযরত মাওলানা আবদুর রাজ্জাক আল-আযহারী ওয়াজ করেন।
 

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন এবার ১৫ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। এসব অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে- প্রতিদিন বাদ মাগরিব থেকে ওয়াজ মাহফিল, হামদ না‘ত মাহফিল, ক্বিরআত মাহফিল, মাসব্যাপী ইসলামী বইমেলা, রাসূলুলস্নাহ (সা.)-এর শানে স্বরচচিত কবিতা পাঠের আসর, বাংলাদেশ বেতারের সাথে যৌথ প্রযোজনায় সপ্তাবহব্যাপী সেমিনার, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও সমমানের মাদরাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক ছেলে-মেয়েদের ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, ইসলামী ক্যালিগ্রাফি, মহানবী (সা.) জীবনীভিত্তিক পোস্টার ও গ্রন্থ প্রদর্শনী ইত্যাদি