ঢাকা, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার ॥
            আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু এ দেশে কোনও অনৈসলামিক কাজ হতে দেন নাই। ১৯৭১ সালে জামায়াতে ইসলামী ধর্মকে ব্যবহার করেছিল রাজনৈতিক স্বার্থে। তারা দেশ ও ধর্মের বিরুদ্ধে কাজ করেছিল। এই ইসলামিক ফাউন্ডেশন বঙ্গবন্ধুর হাতেই গড়া প্রতিষ্ঠান। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাও ইসলামের জন্য কাজ করছেন। তিনি দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলায় ৫৬০ টি মডেল মসজিদ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন। কওমী আলেমদের সরকারি স্বীকৃতি দিয়েছেন। ইসলামের কল্যাণে করেছে এমন একটি কাজের নমুনাও বিএনপি দেখাতে পারবে না। আজ (১৩ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার) সকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়ে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমী আয়োজিত ‘প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমামদের ৫ দিনব্যাপী রিফ্রেসার্স প্রশিক্ষণ কোর্স’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মুসলিম বিশ্বে শেখ হাসিনার একটি আলাদা গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে। উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে আবার শেখ হাসিনার সরকারকে ভোট দিতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে আলেম সমাজকে আহবান জানান মাহবুব-উল-আলম হানিফ।  

              আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ দেশকে জঙ্গীবাদের চারণভূমি বানিয়েছিল বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। দেশের মানুষের মনে তারা ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে ভীতির সঞ্চার করেছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই জঙ্গীবাদকে এ দেশ থেকে নির্মুল করেছেন। আমাদের চারপাশে নীতিহীন একটি সমাজব্যবস্থা গড়ে উঠেছে উল্লেখ করে হানিফ বলেন, আলেম সমাজই পারে ইসলামের মূল্যবোধের সঠিক প্রচার করে একটি নৈতিকতাসমৃদ্ধ সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে। 

              ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত আলেম ওলামারা বক্তব্য রাখেন। আলেম ওলামারা বলেন, বঙ্গবন্ধু ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে হাজার হাজার আলেমের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। শেখ হাসিনা কওমী সনদের স্বীকৃতি দিয়েছেন, ইসলামি আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। ইসলামের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু যে অবদান রেখে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সে পথেই হাঁটছেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন বিভাগের পরিচালকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।